, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলি-টিয়ারশেল নিক্ষেপ, অ্যাম্বুলেন্স চালকসহ ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক

  • আপলোড সময় : ১৮-০৭-২০২৪ ০২:৩৬:০৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৮-০৭-২০২৪ ০২:৩৬:০৯ অপরাহ্ন
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলি-টিয়ারশেল নিক্ষেপ, অ্যাম্বুলেন্স চালকসহ ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক
এবার কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সারা দেশে চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’। আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে রাজধানীর বাড্ডা-রামপুরা এলাকা। এদিকে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে সকাল থেকেই ব্যাপক মারমুখী অবস্থানে ছিল পুলিশ। শিক্ষার্থীদের ওপর নিক্ষেপ করা পুলিশের গুলি-টিয়ারশেলে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

এমনকি আহত শিক্ষার্থীদের আনা-নেওয়ার দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স চালককেও গুলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১০টায় শিক্ষার্থীরা বাড্ডা-রামপুরার রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন। এরপর ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে অবরোধকারীদের সরিয়ে দিতে পুলিশ গুলি ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছিল।
 
এদিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পুলিশের গুলিতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ জনের মতো আহত হয়েছেন। এর মধ্যে অ্যাম্বুলেন্স চালকসহ ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, যাদেরকে ঢাকা মেডিকেলসহ অন্যান্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। অন্যদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার, বনশ্রী ফরাজি হাসপাতালসহ স্থানীয় একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিলয় আহসান নামক এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে পুলিশ রক্তাক্ত করেছে। আমাদের কোনো শিক্ষার্থীই কোনো জানমালের ক্ষতি করেনি, শুধুমাত্র শান্তিপূর্ণ অবস্থান করেই আন্দোলন করে আসছিলাম। আমাদের অসংখ্য বন্ধু-বড় ভাই আহত হয়েছেন। শোনা যাচ্ছে আহতদের পরিবহনে থাকা অ্যাম্বুলেন্স চালক মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন, কেউ কেউ বলছেন মারা গেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, পুলিশ ১১টার পর দুবার অ্যাটাক করেছে। সর্বশেষ শিক্ষার্থীদের পাল্টা ধাওয়ায় পুলিশ পিছু হটেছে। তবে কিছুক্ষণ পর পর ক্যাম্পাসের দিকে টিয়ারগ্যাস ও গুলি ছুঁড়ছে। এর আগে রহমান আবির নামক আরেক ব্র্যাক শিক্ষার্থী ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবেই শাটডাউন কর্মসূচি পালন শুরু করেছিল। হঠাৎ করেই পুলিশ এসে আমাদের ওপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে তারা টিয়ারগ্যাস ও গুলি ছুড়তে থাকে। 

এদিকে রাজধানীর বনশ্রী এলাকার ফরাজি হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে ২৫ জনের মতো আহত হয়ে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। তাদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা খারাপ হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ: সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ: সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি